মোবাইলের টাওয়ার বসানো ও চাকরীর নামে প্রতারণা , ধৃত ২ : তদন্তে মন্তেশ্বর থানা

12th September 2020 10:56 pm বর্ধমান
মোবাইলের টাওয়ার বসানো ও চাকরীর নামে প্রতারণা , ধৃত ২ : তদন্তে মন্তেশ্বর থানা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মন্তেশ্বর ) :  কল সেন্টারে বসেই চাকরি প্রলোভন ও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফোন!আর সেই ফাঁদে ফেলেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠলো একটি চক্রের বিরুদ্ধে।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে বড়সড় সেই প্রতারণা চক্রের হদিশ পেলো পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তিকে শণিবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয় ও তাদের দশদিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়।পুলিশ জানায় ধৃতরা হল দীপঙ্কর ওরফে দীপ পাল,হেমন্ত খাঁড়া।প্রথম জনের বাড়ি কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায়।দ্বিতীয়জনের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুর থানার বাবপুর এলাকায়।
                   স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,ওই চক্রটি মন্তেশ্বরের এক যুবককে গত বছরে প্রলোভন দেখায় ও তার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।ওই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত গোপাল সমাদ্দার নামে এক ব্যক্তিকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।কাঁকসা থানার উত্তরপাড়া এলাকার ওই বাসিন্দাকে জেরা করে মন্তেশ্বর পুলিশ দীপঙ্কর ওরফে দীপ পাল,হেমন্ত খাঁড়া নামে এই দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করে।আর তার সঙ্গে বারাসাত মধ্যমগ্রামে একটি কল সেন্টারের হদিশ পায়।বীমা সংক্রান্ত বিষয়কে সামনে রেখে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকে বসেই ওই ব্যক্তিরা নামী মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধি বলে ফোনে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনকে ফোন করতো।পরিত্যক্ত জমিতে মোবাইলের টাওয়ার বসিয়ে জমির মালিককে এককালীন কয়েক লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনের চাকরি দেওয়ার মতো প্রলোভন দেখাতো বলে পুলিশসূত্রে জানা যায়।মোবাইলের টাওয়ার বসানোর জন্য জমি আছে কিনা তা জানতে চেয়ে জমির যাবতীয় তথ্য ও কাগজ মেল করতে বলা হোতো।ওয়েবসাইটের ঠিকানাও দেওয়া হোতো জমির মালিকের বিশ্বাস অর্জন করবার জন্য।এরপরেই নো-অবজেকশন,কোর্ট এগ্রিমেন্ট,জিএসটির নাম করে দফায় দফায় নিজেদের দেওয়া একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্যও বলা হোতো।আর এরপরেই ধীরে ধীরে সেই লক্ষ লক্ষ টাকা তারা আত্মসাৎ করতো বলে অভিযোগ।জেরায় পুলিশ জানতে পারে এদের সঙ্গে আরো কুড়ি-পঁচিশ জন রয়েছে।ড়ি কাঁকসা থানার উত্তরপাড়ায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন,‘ মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা চক্রটির আরো দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর পিছনে একটি বড়সড় চক্র রয়েছে।তদন্ত চলছে।ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।আরো তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’এখনো পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।